শতধাবিভক্ত মুসলিম উম্মাহর ক্রান্তিকাল চলছে। দ্বিধা-দ্বন্ধ, বিভক্ত-বিভ্রান্ত, অপব্যাখ্যা-অপপ্রচার, পারস্পরিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি ও দলীয় কোন্দল, যিদ-অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ বর্তমানে মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। মুসলিমরাই মুসলিমদের চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছে। কুফরীর বাতিল চেতনা যেন ঈমানের নূরকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ঈমানের পাওয়ার যেন নিফাক্বের ছলনায় পর্যবসিত হয়ে গেছে। শিরকের পঙ্কিলতায় যেন তাওহীদ ডুবে যেতে বসেছে। সুন্নাহর দিগন্ত বিস্তৃত ময়দান যেন বিদ‘আতের আবর্জনায় ভরে গেছে। ত্বাগূতের উপর্যপুরী আক্রমণে নির্ভেজাল তাওহীদ যেন আজ মিৃয়মাণ। এতদ্ভিন্ন আত্মপ্রীতি, আত্মগরিমা, আত্মঅহংকার, আত্মগৌরব, আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয় প্রভৃতি রোগে যেন সকল মানুষ আক্রান্ত। সমস্ত শরীরে পচন ধরেছে, যার দুর্গন্ধ গোটা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। সংস্কারের ডিলারশীপের দাবীদারগণ অন্যের সংস্কারে ব্যস্ত অথচ নিজেরা সংস্কার থেকে পর্যুদস্ত। অতএব এ বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ও ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো- রাসূলুল্লাহ (সা.), সাহাবায়ে কিরাম, তাবেঈনে ইযাম ও তাবে‘ তাবেঈন-এর মানহাজ তথা পথ ও পদ্ধতির অনুসরণ করা। এজন্য সার্বিক জীবনে তাদের মানহাজ অনুসরণ ও অনুকরণ করা আবশ্যক। এটা ছাড়া বিকল্প কোন পথ-ঘাট নেই। যাকে বলা হয় ‘মানহাজুস সালাফিস সালিহ’ বা সালাফে সালিহীনের মানহাজ। উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সংগ্রহ করুন- ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান প্রণীত ও ‘আছ-ছিরাত প্রকাশনী’ কর্তৃক প্রকাশিত ‘সালাফী মানহাজ অনুসরণের আবশ্যকতা’ শীর্ষক গ্রন্থটি।